You are currently viewing ফাল্গুনী ঘোষের কবিতা

ফাল্গুনী ঘোষের কবিতা

ফাল্গুনী ঘোষ 

 

এখন কবিতা লিখতে গেলে

 

এখন কবিতা লিখতে গেলে কসাই এর মুখ মনে পড়ে 

এখন কবিতা লিখতে গেলে মনে পড়ে লোরকার লাশ।

 

এখন কবিতা লিখতে গেলে মনে হয় আমার অপরাধ,

কে তৈরী করে এ প্রচণ্ড হেমলক

কে বিষিয়েছে বাংলার বায়ু 

কে কে কে কেড়ে নেয় আমাদের শিক্ষার অধিকার। 

 

বাংলার মধ্যবিত্ত মারামারি করে না পথেঘাটে 

সে চুপ থাকে নিরাপদ আশ্রয়ে ঠান্ডা গুহার ভিতর।

 

লোভ ও লাভের উন্মত্ত মদ মিশে যায় শিরায় শিরায়

মানব পশুগুলি গোনে রক্তের লাশ, লাঠি আর বোমায় 

বিভীষণ ত্রাস, দিকে দিকে শুধু হাড়হিম সন্ত্রাস।

 

কারো না কারো মাথায় উঠবে পাপের মুকুট 

সে হ’তে পারে জেনারেল ফ্রাঙ্কো কিংবা নির্দয় ইয়া হিয়া 

মুছে গিয়েছে সিঁথির সিঁদুর, খালি হয়েছে মায়ের কোল

এক রতি হারিয়েছে বাবা, পাড়াতে পাড়াতে করুণ কান্নারোল।

 

আচ্ছা রুখে দেওয়া যায় না আদিম এই হিংসার কারবার 

জানি তো জাপানি বোমায় জেরবার হয়েছে পার্ল হারবার।

তারপর মারণ বোমায় শেষ হিরোসিমা মরু প্রান্তর। 

 

সকালের সূর্যে নিতে হবে শপথ 

শিক্ষা হোক আগামী শিশুর পথ।

 

পঞ্চায়েত ভোট

 

রক্ত ফুটছে , ইতালির ভিসুভিয়াস। 

হরির লুটের বাতাসার মত পড়ছে বোম্ব 

ওদের নৃশংস হাতে বাঁশের লাঠি, 

অবৈধ রাইফেলে উড়ে যায় ক্ষুধার্ত জীবন।

 

ভোট সমর।

সারা বছরের পুষে রাখা হিংসার স্টেনগান

গর্জে ওঠে দ্রিম দ্রিম নরকের হিমঘর

সংবাদ পর্দায় ছলকে ওঠে তাজা আর্তনাদ।

 

বাংলার কবর আর শ্মশান জেগে আছে 

একবুক যন্ত্রণায় অপদার্থ প্রশাসন চায় ক্ষমতার গদি।

অশিক্ষার নাশকতা, অশিক্ষার বিশ্বাসঘাত

পোড়াতে থাকে শান্তির কুশপুতুল, সাদা পায়রাগুলি

উড়ে যায় বাংলা ছেড়ে বিহারের দিকে।

********************************