You are currently viewing নিঝুম লেখা / মহুয়া বৈদ্য

নিঝুম লেখা / মহুয়া বৈদ্য

নিঝুম লেখা 

১.
এই সবই রবাহুত! স্বর্ণ চাঁপার বনে একা হারিয়েছে কাছিমটি,
মেঘে মেঘে চুপ নীরবতা অমন অতলবুঝি!
নিঃশ্চুপে ঘুম ঝেড়ে ফেলে
একা ঠিক পাড়ি দেয়! ওড়াউড়ি মেঘের ওপারে
এখন বরষা তাই বেলা বেশ মেঘমাখা হলে
রিম ঝিম রূপকথা অনায়াসে দুইকুড়ি গুনে
হাঁসেদের পিছু পিছু জলে নামে পুকুরের সই
লেখার কলম থেকে নেমে আসে, নিঃঝুম! খই!
২.
এখন আমি নিঝুম দিনে জলের প্রকাশক
অন্যপথে ভিড় জমছে তুমুল হইচই
 নিবিড় জলে অতর্কিতে ঘাই মেরেছে কই
পিছল কাঁটা তীক্ষ্ণ কাঁটা রক্তারক্তি শ্বাস
ক্ষণকালের  ব্যক্তিগত প্রস্তরের ভাঁজ
সাপ্টে ধরছে গা গোলাচ্ছে বমন! পরিপাক!
অমল ধবল পাখি আমার হাওয়ায় উড়ে যা।
৩.
আনমনে হেঁটে যাই আলোছায়া পথের ভিতর।
আঁকিবুঁকি ছককাটা খেলাঘর এমন হিসেব
হয়তো ধুলোর ঘ্রাণ, হয়তো তা বাতাস প্রবণ
জলীয় আলোর মতো মৃদু মুখ, ধোঁয়ার মিশেল
ধূর্ত বালির বাঁধে একা একা নীল চলাচল
এসব আঘাত আজ সয়ে গেছে অমৃত সমান
৪.
মনের জানলা খুলে বসি
ছিমছাম হিসেব-নিকেশ
 মাপমতো একমুঠো হাসি
বিরামবিহীন,সবিশেষ
প্রচলিত ব্যাকরণ! বেশ
ভিতরে বিপুল  চলাচল
নিঁখুত অরূপ হলাহল
এত পাঁক! বিস্ময়-ঘোর
জলের উপর শতদল
ফুটবে কি! বদর বদর