You are currently viewing দুই কবির দুই কবিতা

দুই কবির দুই কবিতা

অলোক বিস্ময়
নাহিয়ান অপু

রাত খরচ করবো না ভেবেও
মনে আছে একবার খুব আক্ষেপে
শ্রাবণ কিনতে কয়েকটি রাত বেচেছি,
তাও জলের দামে!
সেবার বসন্ত বেঁধেছিলাম চোখে,
ফাগুনের রাঙা আগুনের আলুথালু মেঘে
সমুদ্রে জীবাশ্মের দেহে
পৃথিবীর মানচিত্র আমি এঁকেছিলাম।
নীল ক্যাকটাসের ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিলো
আমার চেতনার মমি।
জেনেছি! বান্ধবহীন একাকী পথে
সময়ের আবাসন বুকে লয়ে
কোনসব কামনার পাখি হারিয়েছে পথে,
পাঁজরের নিরব সমারোহে।
সারিবদ্ধ হাড়ের কঙ্কাল, সভ্যতার পাচিল
একেকটি আদিমরাতের সুরতে
সাঁওতালি বনবৃক্ষের রথ ডুবেছিলো অন্ধকারে,
আমি সেবার রোদ্দুর সেজেছিলাম শিশুঠোঁটে।
সুঠাম অরণ্যে শালুকের চোখে দেখেছিলাম
হেমন্তের ঘনঘটা।
আমার গ্লানিমাখা দেহখাঁচা
ভাসিয়ে দিলাম অজয়স্রোতে
কপোলে গড়িয়ে পড়া মেঘ
নিকটের রমনীয় হাত ছুঁয়ে প্রেমিকের বুক,
আমি আজ নই! নিঃসঙ্গ নয় আমার পায়ের চলন।
স্পর্শের আঘাতে সমস্ত খুন হয়েছে আমার!
আমাকে তাড়াতে চায় কেন হে আকাশ?
বৃষ্টির তরঙ্গদোল আজও আমার শ্রবণে,
আমি কেবল এক পৃথিবীর নই!
শতকোটি যামিনীর আমি এক বিশুদ্ধ নক্ষত্র
বাহির হতে আলো বোনা পথ আমার,
গালিচায় হেঁটে যায় ছোট্ট চড়ুইয়ের মতো।
জাগিয়ে তোলো হে বিস্ময়ের চোখ
হাত রাখো গ্রীবায়
ছৈবাল পলেস্তারে নাড়িয়ে তোলো
পাকস্থলীর বিভাগী এ শুশ্রূষা।

*************************

 

যেহেতু বৃক্ষ নেই
 অন্তর চন্দ্র

এতসব রোদ পিঠে চড়ে বসে
যেহেতু বৃক্ষ নেই
তিলোত্তমার এক তিল বুকে
শূন্য হৃদয় নিয়ে
জলাকার ডেট নোট
অতীত স্মৃতি মন্থন করে
একঝাঁক শোক
মানুষের হাতে
বর্তমানের হিট অ্যালার্ট
সাহেবি চেহারা নিয়ে
এপারে শমন জারি করে চলে

================