You are currently viewing দুইটি কবিতা/ শাখাওয়াত বকুল

দুইটি কবিতা/ শাখাওয়াত বকুল

অপরাহ্ন

শাখাওয়াত বকুল

যখন কোন বিশেষ ‘বার’ আর কোন গুরুত্বই বহন করেনা

তখন একটা চাঁদের জোসনায় ভেসে ভেসে কি আসে নিউরন সেলে।

তারপরও কেন কবিতা নয় বরং বিষাদমাখা মহাদেব সাহার মুখটাই একটা স্নায়ুর যুদ্ধে নামে!

আশিক ভাইকে দেয়া উপহারের বইটায় যখন সৌরভ লেখে ‘জীবন ঠুনকো নয়’,  সেই সৌরভ মাহমুদই কোন বিষাদে জীবনকে ঠুনকো করে দিয়ে আত্বাহুতি দেয়?

তাহলে জীবন কি যাপনের ঠুনকো পথকে একটা কলাপাতায় মুড়ে ক্রমশ পিঙ্গল বর্ণ হয়?

যে মানুষটা রাতের আধারের মত  কয়লাখনিতে থাকে

তারও তো একটা নীলাকাশ থাকে, থাকে পরতে পরতে স্বপ্নের মায়াজাল।

মটরশুঁটির ক্ষেত পেরোতে পেরোতে একটা ঘন সবুজ আঁকা দিগন্ত তার মনের ভেতর পোড়ে নেয়।

সারাদিন হাওয়াই মিঠাই বিক্রিকরা মানুষটা

ছোট্ট ছোট্ট বালক-বালিকার মুখে আঁকে তার ঘরে থাকা শিশুর শৈশব কৈশোর

অথচ রাতে ফিরে তবলায় সুর তোলে কোন বিভোরতায়,

তবে কি জীবন যে স্বস্থি চায়, তা গ্রন্থির ভেতর থাকা স্বপ্নপূরণ?

কর্পোরেট দুনিয়ায় দিনভর নিজের মেধা আর মননকে বিলিয়ে দেয়

সেও তো আঁকে তার দ্বিধাহীন প্রিয়তমের কথা।

এই যে বিপরিতগামী দুটি স্বপ্নের নিখুঁত অঙ্কন

সেও আসলে আপোষ আর অবদমনেরই পথ।

 

২৭ ডিসেম্বর

একটা দীর্ঘ দীর্ঘ অন্ধকারের পাশে
২৭ ডিসেম্বর তার আরও বড় ছায়া ফেলে।
পরানগঞ্জের রাস্তাটার পাশে যে বাড়িটি
বেশকিছু ফুলের চাদরে নিজেকে জড়িয়ে রাখে
সেও জানায় তার দীর্ঘ দীর্ঘ দীর্ঘস্বাসের কথা।
যে হোটেলে স্থির হয়ে থাকে একটা আশ্চর্য বিকেল
সেও নিস্তব্ধতার সাক্ষ্য হয়ে যায়
দরগার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটা
আসলে ডেডএণ্ড
সেখানেও খুড়া আছে এক বিশাল গর্ত
গ্রাম আর শহরের কৌতুহলী মানুষ তামাশা দেখতে
বড্ড পছন্দ করে
একটা উন্মাদ ঐ গর্তে বসে থাকে
লোকজন গেলেই বলে
২৭ ডিসেম্বর শুভ হোক।
আসলে উন্মাদটি প্রতিদিনই এমন বলে
অথবা
তার আর কিছু বলবার নাই।