You are currently viewing দুইটি কবিতা- মাহবুব মিত্র

দুইটি কবিতা- মাহবুব মিত্র

কাঁচাকাঁচা ইস্কুলবেঞ্চ।।

একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিছু পুরাতন ইট। পাশে ঝোপঝাড়। একটা কাদামাখা দালান। সিঁড়িগুলো হাওয়াকল। অঙ্ক ক্লাস নেমে যাচ্ছে সমুদ্রে। ইংলিশ উড়ে-উড়ে পাড়ি দেয়~ইংলিশ-ইবলিশ-ইয়ংলিশ চ্যানেল। শৈশব-শৈশব ডুবসাঁতার আশৈশব। এখনো সুনীল স্যারের ডাক শুনতে পাই। আমি আজ পার্কহিল সাঁড়াশি আনন্দহাসি।

কিছু সন্ধ্যা। কিছু ভোর। কিছু কুয়াশাজড়ানো স্নান। কিছু শৈশবহারানো গান। কিছু-কিছু বোন দুঃখনদী। কিছু-কিছু ভাই গারদখানা। কিছু-কিছু মাতাপিতা নারদছানা। কিছু-কিছু বেজন্মা আমলা[<=>]সরকারি চিড়িয়াখানা। তারপর কাঁচা-কাঁচা রোদ~নিম্নবর্গের নিম্নগামী ইস্কুলবেঞ্চ।

শূন্য-শূন্য {০-০} গৌল। শূন্য কি সংখ্যা নাকি সংখ্যার কেন্দ্রবিন্দু! বামে গেলে←শূন্য শূন্যতায় হারায়। ডানে গেলে→শূন্য ওপেন মার্কেট সমুদ্রহাওয়া। শূন্য-শূন্য {০-০} স্টেডিয়ামে↑<=>↓ঊরু-ঊরু বিপণীপাখি। সমুদ্রমৈথুনে দিশেহারা নাবিক।

ফিরে পেতে চাই প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফিরে পেতে চাই সাঁকো-সাঁকো প্রেম। ফিরে পেতে চাই সুনীল স্যারের ক্লাস। ফিরে পেতে চাই শিবলীর থোকা-থোকা মায়াবী দৃষ্টিপাত। পৃথিবীর সবগুলো রানওয়ে মিলিত হোক→←আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। [{(স্কুলড্রেসের আঁকুপাঁকু হাসি=২)÷২}-(১×১)=০}~’তোমার-আমার’ হারানো গান।]

 

Department of Taxation is my Beloved

আমরা একই লাইনে একই পথে মিশে আছি, তুমি বসে আছো নির্বাক গাছের ছায়ায়, আর আমি হাঁটছি, এই শুধু তফাৎ, পার্থক্যটা আড়মোড়া দিয়ে শুয়ে আছে, তোমার গাড়ি কখনো দিয়াবাড়ি কখনো পূর্বাচলে দৌড়ে যেতে থাকে সূর্য ডোবার আগেই, গাড়িতে আর কে-কে থাকে রুটিনমাফিক তা আমি জানি, বেইলিরোডে ইউনানি বিচের ফেনা লাফাতে থাকে; সোনাদীঘিতে সূর্য উঠবেই একদিন।

আমি আবার এসে ডাক দিবো, ডাক্তার ঘুমিয়ে গেলেও প্রজনন থেমে থাকবে না, স্বাস্থ্যসেবীরা দীঘিতে সাঁতার কাটবে, সেই দৃশ্য একদিন আকাশের গর্ভে ফুটে উঠবে, তখন আমার সাথে হাঁটতে শুরু করবে তুমি, জুহি তোমার করবিভাগ আমাদের অভ্যর্থনা জানাবে; আমরা সময়মতো সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যাবো।

চৌকাঠ পেরোতে পারলেই তোমার অগ্নিসাগরে ডুব দিবো, শীত-গ্রীষ্ম আমাদের কবিতার মতো জমজ ভাইবোনের কোলাহল, ইয়েলিৎসিন মরে গেলেও সমাজতন্ত্র হাসতে থাকবে, সমাজতন্ত্রের শাবকেরা ব্যাঙাচির মতো পুকুর-পুকুর সাম্যবাদ উৎপাদন করবে, তোমার সঙ্গমে তৃপ্ত হবো বলে—কর-কমিশনে আমাদের ডাক্তার মেয়েটি পুতুল-পুতুল খেলে।

তোমার শূন্যতায় আমি হারিয়ে আছি, তোমার অবিশ্বাস্য কথামালায় করোনাফুল ফোটে, স্বর্গ-নরকে আমার বিশ্বাস নেই, সাত সমুদ্র তের নদী সাঁতরে আমাকে শিখাতে চাইছো কাবাশরীফের ভূগোল, কনডম তোমার কাছে হয়ে যায় জন্মনিরোধক রঙিলা টুপি, Department of Taxation is my Beloved; জরায়ুর মুখে চিনচিন ব্যথা, তবুও তুমি অমরতার কথা বলো!…