মুখ – মুখোশ
কতগুলো কথা
সময়ের আপেক্ষিক আদ্রতায়
মেশে ক্লান্ত শ্রমের ভাষা
নিজের থেকে পরই আপন
নদী স্রোতে বয়ে গেছে জমানো কিছু স্মৃতি
মুখোশ বদলালেই মুখের জন্ম হয়
আজীবন —
মুখোমুখি কত বিন্দু
আজ বৃত্তে পরিণত হয়েছে।
পরিণত
যে দুপুর আমায় দিয়েছিলো
একটা পরিণত সূর্য
মাথার ওপর ঠায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
সকাল লিখতো
বিকেল লিখতো
অজনা ইতিহাসের পাতা লিখতো
নিজের কাছে নিজেই এখন একটা পাহাড়
সূর্যটা এখন ঠিক মাথার ওপর।
সভ্যতা
পাইন গাছটার নিচে
একটা সভ্যতা দাঁড়িয়ে আছে
রোজই দেখি বিবর্তনের ইতিহাস
প্রান্ত রেখা বরাবর হাঁটতে হাঁটতে
অতিক্রম করলাম
গতদিনের ফেলে আসা রাস্তাকে
কতগুলো চড়ুই এখনও গাছটায় বসে
রোদ্দুর,ছায়া আর আমি
একেই নাকি সভ্যতা বলে?
পথ অস্পষ্ট
অক্ষরে অক্ষরে রাতের নির্জনতা
কথার সঙ্গে কথার বদলে যাওয়ার কথা
আজও যে বিন্দু স্পর্শ করে বৃত্তকে
বসন্ত কথা
নিজস্বতা আর আমি
ফুলের পাপড়িতে লেখা
আগামীর ইতিহাস
যেভাবে পথ বেঁকে গেছে
রাস্তাকে ছোঁবে বলে
নদী বেঁকে গেছে
সাগরকে ছোঁবে বলে
গাছে গাছে ভরে উঠেছে কলি
এভাবেই বোঝা যায় বসন্ত এসে গেছে।
কেউ আগে কেউ পরে
গন্তব্য কারোর জানা নেই
শুধুমাত্র একটা আস্তানা ____
ক্রমশ হেঁটে চলি
সকাল থেকে রাত
দিনে দিনে দিনযাপনের চিত্র উঠে আসে
ভেসে আসে সুর
গাছে গাছে হওয়ার স্পর্শ
আরো একবার মানচিত্র নিয়ে বসলাম।
![](https://monmanchitra.com/wp-content/uploads/2023/05/MonmanchitraSloganLogo-01-300x132.png)