You are currently viewing গুচ্ছ কবিতা/ ফেরদৌসী রূম্পা

গুচ্ছ কবিতা/ ফেরদৌসী রূম্পা

গুচ্ছ কবিতা/ ফেরদৌসী রূম্পা

মরীচিকা

 

তৃষ্ণার্ত পথিক─
তপ্ত বালু মাঝে অনবরত নেতিয়ে যাচ্ছে দেহ-ভার!
চতুর্দিকে জলের কণা চিকচিক
একবিন্দু পানি নেই কোথাও!

দূরে,
আরো দূরে কিংবা চোখের কোণায় ভরাট সমুদ্র
অশ্রুটুকু গড়ায় সীমানায় থাকা  জলের আশায়!

হেঁটে হেঁটে ভয়ার্ত পথিক
চেতনা ফেরে
মরুভূমিতে আটক মুসাফির
মরীচিকায় শেকলাবদ্ধ পিপাসার্ত অবসন্ন শরীর
পণ্ডশ্রমে কেটেছে সামর্থ্য সময়।

যেমন
পূর্ব-পশ্চিমে চলে অদৃশ্য ধর্মানুভূতির বিরোধ─

প্রাক্তন

চাষকৃত আবেগি ফসলে মুনাফা শূন্য।
রামের প্রত্যাখ্যানে শূর্পনখার উদগ্রীব প্রেম;
তৈরি হয় রক্তাক্ত কান্ড!
পঞ্চ স্বামীর ভার্যা দ্রৌপদীর কামনায় প্রেমিক কর্ণ।

ব্যক্তিগত সংগ্রহের গোপন তাকে সাজানো
নিষিদ্ধ কাব্যের ভাঁজে চুপিসারে পড়া প্রেম
অশ্রু রঙে আঁকা চিত্রপটে
শুকিয়ে যাচ্ছে জল
আর স্মৃতি জমানো প্রেমিকের  অনুভূতি।

দেয়ালে দেয়ালে বিজ্ঞাপনে ছেয়ে যায়
প্রাক্তন প্রেমের অলিখিত প্রকাশ।

রুহি

১.
তিস্তার বেদনায় মোচড়াচ্ছে উত্তাল ঢেউ,
ন’মাসের ফুলে ওঠা শরীরে -উর্বর চঞ্চলতা!

২.
শান্ত গর্ভ ফুঁড়ে তেড়ে আসে মাতাল ঢেউ
‘ভালোবাসি’
উত্তর-দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্রে ভেসে যায় সকল চৌম্বকত্ব।

৩.
রৌদ্রতেজে পুড়ে সবুজ বনের ছায়ায়
কতিপয় কালো মূর্তির মৃদু আলিঙ্গন।
আচ্ছা, ভালোবেসে পুড়লে সে ছায়ার রঙ কেমন হয়?

৪.
হাতে-হাত আর পায়ে-পায়ে রঙের শব্দ চেনা।
হামাগুড়িতে পাহাড় চূড়ায় –
ঘুটঘুটে কালিমায় হঠাৎ দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া!

৫.
হাঁটতে শিখেছে;
দোদুল্যমান পেন্ডুলাম, জলাধ্যানে আত্মমগ্ন।
তলিয়ে যাচ্ছে, তলিয়ে যাচ্ছে, তলিয়ে যাচ্ছে
ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে।