You are currently viewing একগুচ্ছ কবিতা / সাকিব হাসান

একগুচ্ছ কবিতা / সাকিব হাসান

একগুচ্ছ কবিতা

সাকিব হাসান

 

প্রেম কীর্তনখোলা

 

কীর্তনখোলাকে বহুবার বলেছি

উত্তর  মেলেনি।

বলেছে দু:খ দিও না

অবহেলা করো না

এমন প্রশ্নে আমার

নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে

ঢেউয়ের স্বপ্ন অধোমুখ হয়।

মন আমারই বেদনার বৃক্ষ

ভাবনা তরুপল্লবে কেন সাজো?

তোমার স্রোতে অন্ধকার প্রিয়

অপেক্ষা সাতকাহন তার

বাতাসে অভিমান করো না

প্রবাহ কথা ফেলে এসো না

কীর্তনখোলা-

সব কথা লিখে পাঠিয়ে দিবো।

আচ্ছা, তবু ভালো থেকো

এমন কে ভালোবাসে?

একলা জল নিয়ে বসে থাকে।

 

সূর্যটা চাইলে না কেন?

 

সূর্যটা চাইলে না কেনো?

কৃপণতা ছিলো কি আমার?

বিষয়, স্বত্ত্ব ছেড়ে দিয়েছি

সংসার ছেড়ে ঋষির মন পড়েছি

কৃপণ দুর্গন্ধ দূর করার জন্য।

লুপ্ত কোনায় হাঁটছি দিবারাত্রির মতো

স্রোতের মধ্যে দাঁড়িয়ে জল থেকে হাত

সরে নিয়েছি বিষুব অঞ্চলে কতোবার

তোমার কথা মনে পড়ে গেলো তখন

কে আর দেবার প্রান্তে হাঁটে!

আগুন পোড়া দুপুর বেলা।

বয়ে আসা শীতল প্রবাহকে না বলাটা

যদি সহজ হতো খেলনা কেনার মতো

সবাই প্রেমিক হতো-

অহংকার কাদা থেকে পা সরিয়ে

অবহেলার বাগানে হাঁটা বিকেলে

কতো অনাদর পোহাই শীত সকাল রোদে

এই আমি, নক্ষত্র আর সৌরভের জন্য।

অথচ মন্ত্র নিয়ে  হাঁটলে অথৈ দূর  অঞ্চলে

প্রাণ থাকা প্রান্ত অব্দি

বাতাসে আলো খেলা দৃশ্য অব্দি

সূর্যটা তোমার, অন্য কারও নয়।

 

মেয়েটি আসার আগে পাখিরা উড়েছিলো

 

তরল আকাশ মেঘে ডুবলে

পাখিদের নীড়ে সূর্যস্নান জমে।

খাঁচায় সংশয় ঝরে আলো স্বরে

কপাট নড়ে আহলাদ ভরে মেয়েটির মতো

সেই মেয়েটি আসার মুখটি যার প্রান্তর ছিলো।

সীমানায় আশার প্রস্থ নিয়ে সীমাহীন মেয়েটি

আসতে চেয়েছিলো গানের আকাশে উড়ে।

 

পাখিরা উড়েছিলো আগের দিন

সাতটি রঙে যেমন আকাশ আলো।

লাল, নীল, আসমানী আনন্দ ভাসা কুলে

মেয়েটি চেয়েছিলো আসতে হাওয়া নৌকো বেয়ে

শোরগোল ছিলো, মেঘে কতো ভয় ছিলো

ছিলো সূর্যের আগুন, আনন্দ পোহানো পূর্বাহ্ন

পাখিরা সব উড়েছিলো  সিনান চোখ খুলে।

 

কিছুই গোছানো হয়নি

কাঠের ভেলায় ভেসে সাগর যাত্রা

ঢেউয়ের  ভালোবাসা গুছিয়ে বন্দর খুঁজে বেড়ানো।

দিনের অজস্র কাজ সন্ধ্যায় বাড়ি আসে

রাত শেষে সকালে সাথে যায় মাঠে।

ঘুমের মধ্যে কাজ জেগে থাকে

জড়িয়ে ধরে চাহিদার ভালবাসা

আমাকে নিঃস্ব করে।

আগাছায় ভরে ওঠা গোলাপ বাগান

গোছানো হয়ে ওঠেনি এখনো।

রুটিন করে পরিপাটি আকাঙ্ক্ষা চোখে

জ্বালিয়ে সামনে হাঁটছি, মন্দিরা

গোলাপের পাশে হাঁটার থেকে

হাঁটার ইচ্ছে বেশি মধুর

বলেই বেঁচে আছি জান না!

এত অল্প সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর থাকে না

ষ্টপওয়াচের কাঁটা  থামলে

উত্তর প্রশ্নের সমান।

সমীকরণের দুই দিকে অর্থ আর অর্থহীন

বিষম ভারসাম্য এ জীবন গ্রহে।