শেখ নুর হোসেনের কবিতা
গঠনতন্ত্র
❑
কোনো স্বরলিপি নেই,কোনো গঠনতন্ত্র। কি আশ্চর্য!
প্রেমের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও এতো অনিয়ম।
ভাবা যায়! যেমন অনিয়ম— দেশ,সমাজ ও রাষ্ট্রে।
থাক সে কথা
চলো—
তুমি আমি আমরা মিলে এই প্রথম
প্রথম বার তৈরি করি
প্রেমের প্রথম গঠনতন্ত্র।
[]
গোলাপের শোকার্ত
❑
মানুষকে ভালোবেসে কবি বিপ্লবের কথা বলে
আর মানুষ করে— তিরস্কার
ঠেলে দেয় কবিকে অন্ধকারে।
অতঃপর—
কবি’র প্রস্থানে গোলাপ শোকার্ত হয়;
মানুষ নয়।
[]
বাদ্যকর
❑
আমার বন্ধু সেতার বাদক,
খুব ভালো বাজায় বিষয়টা তাও নয়,
তবে বাজায়—
যেমনটা বাজালে মনের খোরাক মেটানো সম্ভব,
মানুষকে হৃদ্য করা যায়।
তাঁর ছেতারের সুরে আমি মাতাল হই,উল্লসিত হই
উদাস থেকে উদাসতর হতে থাকি।
হারিয়ে যাই অন্য ভুবনে; যেখানে আমি আর সুর,
সুর আর নীল নীল বেদনা।
ধিরে ধিরে সুরের রাজ্যে ঢুকে পরি— খুন হই,
আবার বেঁচে উঠি।
সুরের ঝংকার আমায় বাঁচিয়ে তুলে,বেঁচে যাই;
অতঃপর— গ্লাস গ্লাস সুর পান করি।
আমার বন্ধু সেতার বাদক।
একদিন আমায় ডেকে বললো— ‘নতুন এক সুর বেঁধেছি! শুনবি?’
আমি পুলকিত হয়ে বললাম— ‘হুম,শোনা।’
ও আমায় শুনাচ্ছে—
খানিকক্ষণ পরেই দেখলাম,এই প্রথম আমি দেখলাম—
ছেতারের তার বেঁয়ে আর্তনাদ ঝরছে,
আমার বন্ধুর হৃদয়ের গোপন আর্তনাদ,
মূলতঃ আর্তনাদ গুলোই সুর হয়ে ঝরছে!
হৃদয়ের ক্ষত হতে রক্ত ঝরছে তার বেয়ে।
আমার বন্ধু সেতার বাদক।
=================